পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানা
অলৌকিক রহস্যে ভরা৷ এখানে যা যা তুলে ধরা হয়েছেঃ-
(১) মন্দিরের চূড়ার পতাকা
বায়ুর উল্টো দিকে ওড়ে৷
(২) মন্দিরের উপর আজ
পযন্ত কোনো পাখি বসতে
দেখা যায়নি৷
(৩) মন্দিরের ওপর দিয়ে কোনো
বিমান,পাখি উড়ে যেতে পারে না৷
(৪) মন্দিরের রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে গঙ্গানদী প্রবাহমান,যা বাইরে থেকে দেখা যায় না৷
(৫) প্রতিদিন এই ধ্বজা পালটানো হয়। গত ১৮০০ বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। যদি একদিন পালটানো না হয় তবে তার পরে ১৮ বছর মন্দির বন্ধ রাখতে হবে।
(৬) মন্দিরের গোপুরমের মাথায় অবস্থিত সুদর্শন চক্রটি এমনভাবেই বসানো হয়েছে যে শহরের যেখানেই আপনি থাকুন না কেন, মনে হবে চক্রটি আপনার দিকে মুখ করে রয়েছে।
(৭) সাধারণত দিনের বেলা সমুদ্রবায়ু স্থলভাগের দিকে বয় এবং রাত্রিবেলা স্থলবায়ু সমুদ্রের দিকে বয় কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পুরীতে এর ঠিক উলটোটা ঘটে।
(৮) এমনই আশ্চর্য ইঞ্জিনিয়ারিং এই মন্দিরের যে প্রধান চূড়ার ছায়া কখনও মন্দির প্রাঙ্গণে পড়ে না।
(৯) মন্দিরে প্রতিদিন একই পরিমাণ প্রসাদ রান্না হয় কিন্তু কখনও প্রসাদ বাড়তিও হয় না আবার কমও পড়ে না। অথচ মন্দিরের দর্শনার্থী সংখ্যা এক থাকে না।
(১০) পর পর ৭টি মাটির পাত্র একটি আর একটির উপরে বসিয়ে ভোগ রান্না হয় কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সবচেয়ে উপরের পাত্রটি আগে সিদ্ধ হয় এবং সবচেয়ে তলারটি সবার শেষে।
(১১) মন্দিরের সিংহদরজা দিয়ে ঢোকার সময়ে সমুদ্রের আওয়াজ কানে আসে কিন্তু দরজাটি পেরিয়েই যদি আবার ঘুরে আসা যায় একই পথ ধরে তবে কোনও আওয়াজই পাওয়া যায় না, যতক্ষণ না সিংহদরজার বাইরে চলে যাওয়া যায়।
(১২) জগন্নাথ মন্দিরের প্রাচীনতম অংশটি তৈরি হয় চোলরাজ অনন্তবর্মনের আমলে। তখন মন্দিরটি দেখতে অন্য রকম ছিল। মেঘনাদ পাচেরি, মুখশালা, নাটা মণ্ডপ ইত্যাদি অংশগুলি পরে তৈরি হয়েছে।
(১৩) প্রতি ১২ অথবা ১৯ বছর অন্তর নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় যাকে বলা হয় ‘নবকলেবর’। পুরনো মূর্তিটিকে কিন্তু সমাধিস্থ করা হয়। শেষ নবকলেবর ঘটেছে ২০১৫ সালে, ১৯ বছর পরে।
0 comments: